ভূঞাপুরে তীব্র ভাঙনে অসংখ্য পরিবার বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব

0

ভূঞাপুর প্রতিনিধি – টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ের নিকরাইল ইউনিয়নের বাহাদুর টুকনা ও পাটিতাপাড়া এলাকায় তীব্র ভাঙনে অসংখ্য পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।

- Advertisement -

কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলের সকল নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে, যার প্রভাবে এই ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নীচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। যমুনা চরাঞ্চলসহ পূর্ব পাড়ের মানুষেরা ভাঙন ও বন্যা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

 

সরজমিনে দেখা যায়, গত দুই দিনের ভাঙনে বাহাদুর টুকনা এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় স্থানীয়রা তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

 

বসতভিটা হারানো এসব পরিবারের সদস্যরা নদী পাড়ে বসে অসহায়ের মতো চোখের জল ফেলছেন। তাদের অন্য কোনো থাকার জায়গা না থাকায় রাস্তার পাশে উঁচু স্থানে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। এছাড়াও যমুনার এমন ভাঙনে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ও আধ-পাকা সড়ক, গাইড বাঁধ, ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক সড়ক, বসতবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে।

 

ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী জানান, গত দুই দিনের ভাঙনে তাদের এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চোখের সামনে বসতভিটা নদীতে বিলীন হচ্ছে, কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছেন না। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, একদিনের মধ্যে জিও ব্যাগ না ফেললে পুরো গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকা নিকরাইল ইউনিয়নের যমুনা পূর্ব পাড়ের বাহাদুর টুকনায় ভাঙন শুরু হলে সাথে সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন।”

 

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, “যমুনা পূর্ব পাড়ে ভাঙনের খবর পেয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং খুব শীঘ্রই ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে।”

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.