বরিশাল প্রতিনিধি/-সকাল থেকে বরিশালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে আকাশ। আবহাওয়া অধিদফতর সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৮টার পর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ নৌরুটের (ছোট) লঞ্চ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল কার্যালয়ের নৌ নিরাপত্তা শাখার সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই সকাল ৮টার পর বরিশাল নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ ১২ রুটে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি। আবহাওয়ার উন্নতির পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
তবে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচলে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে বড় লঞ্চ চলাচল করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজার্ভার মাহফুজুর রহমান জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে সক্রিয়, উত্তরাংশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।সিনিয়র অবজার্ভার মাহফুজুর রহমান আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা আছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের একই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশালসহ নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।