সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে দেশের ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।বৃষ্টি হলে ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে যেতে পারে। এতে আগামী (ডিসেম্বর) মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই সারা দেশে তাপমাত্রা অনেকটা কমতে পারে। শীত জেঁকে বসতে পারে দেশের অনেক অঞ্চলেই। কোনো কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহও।
গত বছর ও এ বছরের অনেকটা সময়জুড়ে প্রাকৃতিক আবহাওয়া চক্র ‘এল নিনো’ সক্রিয় ছিল। প্রকৃতিতে এল নিনো সক্রিয় হলে তাপমাত্রা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকে। ফলে গত দেড় বছর বিশ্বজুড়েই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। তবে এল নিনোর প্রভাব কেটে এখন আবার সক্রিয় আবহাওয়ার আরেকটি ধরন ‘লা নিনা’। এল নিনো উষ্ণ পর্যায় হলে লা নিনাকে বলা হয় শীতল পর্যায়।
লা নিনার প্রভাবে এ বছর শীত বেশি অনুভূত হতে পারে কি না, জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, ‘লা নিনার সময় এমনিতেই তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। ফলে এ কারণেও শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হতে পারে। গত বছর এমনিতেই শীত কম ছিল। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হতে পারে।’
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে আগামী দুই দিনে (শনি ও রবিবার) বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি কিছুটা বাড়তে পারে। এই তিন বিভাগের সঙ্গে ঢাকা বিভাগের কোনো অঞ্চলেও বৃষ্টি হতে পারে শনি ও রবিবার। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে সামান্য বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রা। আগামীকাল দিন ও রাতের তাপমাত্রা উভয়ই কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
- Advertisement -