নিজস্ব প্রতিবেদক অভিযোগের অন্ত নেই বিআইডাব্লিউটিএ-র অতিরিক্ত পরিচালক এ.কে.এম.আরিফ উদ্দীন ওরফে আরিফ হাসনাতের বিরুদ্ধে। আজ ২৮-০৮-২৪ বুধবার মোঃ জাকির হোসেন নামক জনৈক ব্যক্তি বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন এ.কে.এম.আরিফ উদ্দিন ওরফে আরিফ হাসনাত, পিতা-করিম হাজি, গ্রাম-রায়পুরা, থানা-সুজানগর, জেলা-পাবনা। বর্তমানে, অতিরিক্ত পরিচালক বন্দর ও পরিবহন শাখা।অতিরিক্ত পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ল্যান্ড এ্যান্ড এস্টেট বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়, ঢাকা। সে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়াও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলনে ব্যবহার করেছে। যা সঠিকভাবে তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে। নিম্নে তার সম্পদের সামান্য কিছু বিবরণ তুলে ধরা হলো- ১. নারায়নগঞ্জ পোর্টে ৪ বছর চাকুরি করে ২০০ কোটি টাকা সম্পদ অর্জন।২. স্ত্রীর নামে কর্ণফুলি শিপইয়ার্ড নারায়নগঞ্জের শেয়ার রয়েছে।৩. স্ত্রীর নামে নারায়নগঞ্জ পোর্টে রয়েছে ডকইয়ার্ড।৪. সদরঘাট পোর্টে চাকুরিকালীন সময়ে কয়েকশো কোটি টাকা লোপাট।৫. দুই স্ত্রীর নামে রয়েছে এলিফ্যান্ট রোর্ডে ৫ তলা কমার্শিয়াল বিল্ডিং, বসুন্ধরায় জমি, ফ্ল্যাটসহ শত কোটি টাকার সম্পদ। ভাইয়ের নামে বিপুল সম্পদ।৬. ঢাকার নদী উদ্ধারের নামে কয়েকশো কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।৭. দুই স্ত্রী ছাড়াও অসংখ্য গার্লফেন্ড।৮. ব্রিটেনে বাড়ি এবং বিপুল অর্থ পাচার করেছে।৯. কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক।১০. ছেলে-মেয়েদের লন্ডনে পড়াশোনার পিছনে বছরে কোটি টাকা খরচ করে।১১. পাবনা সদর, স্কয়ার রোড,শালগাড়িয়া,পাবনাতে ৬ তলা বাড়ি।১২. পাবনা সদর, কাচারী পাড়ায় ৫ তলা বাড়ি।১৩. পাবনা সদর, সাধুপাড়ায় ৪ তলা বাড়ি।১৪. আলিশান বাড়ি ক্রয়: মালিকের নাম নাদিরা, বাড়ি নং ৩৭,রোড নং -৪, ব্লক-সি, ওয়ার্ড -৩০, মনসুরাবাদ হাউজিং মোহাম্মদপুর, ঢাকা।১৫. ফ্ল্যাট নং- ৪৭/৫৫রোড- ২/এব্লক- সি৩৬০০ স্কয়ার ফিট।বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা, বর্তমান এখানে বসবাস করছেন।১৬. বাড়ি নং ৩০১, মুল্য ২২ কোটি টাকা। এলিফেন্ট রোড, ঢাকা। এই বাড়িটি স্ত্রীর নাম ক্রয় করেছেন।১৭. বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বিল্ডিং এ ৮ টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। ব্লকঃ বি-হোল্ডিং নং-৪৭,৪৮,৫২,৪১।১৮. নিজ জেলা পাবনা সুজা নগর মৌজা-বনখোলা,ঘেতুপাড়া, রামপুর, হাটখালি, খেতুপাড়া এলাকায় জমি কিনেছেন প্রায় ২০০ বিঘা।১৯. তিনি যেখানে অফিস করেন সেখানে তিনটি রুম ডেকোরেশন করে এসি লাগিয়েছেন। খরচ করেছেন ২৪/২৫ লক্ষ টাকা। অথচ: সেখানে তিনি বসেন না।এছাড়াও ঢাকার নদী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের স্থাপনা উচ্ছেদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাজার কোটি টাকা আয় করেন আরিফ হাসনাত। এ সকল অভিযোগের সত্যতা জানতে দৈনিক সকালের সময় অফিস থেকে ফোন করা হলে তিনি বলেন এসকল সম্পত্তি আমার নয় ।