বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো দুজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। এ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৫ জন। সোমবার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।নতুন ভর্তি হওয়া দুজন সজিব ও নজরুল ইসলাম মণ্ডল।তারা কনটেইনার চালক ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস. এম. আইউব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নজরুল ও সজিব নামে আরো দুজন এসেছে। নজরুলের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এবং সজিবের সাত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৫ জন ভর্তি আছে। এ ছাড়া রাসেল নামে একজনকে ঢাকা মেডিক্যালে স্থানান্তর করা করা হয়েছে।শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা ভর্তি আছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। তাঁদের একজনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। বাকীদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।রোগীদের চিকিৎসায় ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল থেকে চিকিৎসক এসে তাঁদের দেখে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আবুল কালাম।
বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি দল এখন চট্টগ্রাম মেডিক্যালে আছে বলেও জানান তিনি। সেখান থেকে আরো ৭ থেকে ১০ জন রোগী শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।দগ্ধ সজিবের বন্ধু মো. নয়ন হোসেন বলেন, সজিবের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার পদ্মামনসা গ্রামে। বাবার নাম নুরুল ইসলাম। রাজধানীর আগাঁরগাও তালতলা এলাকায় থাকেন।তিনি বলেন, শুক্রবার টঙ্গি থেকে পোশাক কারখানার সামগ্রী নিয়ে সীতাকুণ্ডে যায়। পরের দিন রাতে ডিপোতে আগুন লাগে। সেই আগুনেই সে দগ্ধ হয়। তবে তার চোখে আগুনের তাপ লেগেছে।নজরুলের ছোট ভাই কামরুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি ফরিদপুর সদরের বহুলক্ষিপুর গ্রামে। তার পরিবারের সবাই গ্রামে থাকলেও সে ঢাকায় থাকতেন। একটি কম্পানির কনটেইনার চালাতেন তিনি। রবিবার ঢাকা থেকে কনটেইনার নিয়ে সীতাকুণ্ডের ওই ডিপোতে গিয়েছিল। সেখানে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় নজরুল।