LastNews24
Online News Paper In Bangladesh

বারডেমে ছাত্রলীগ নেতাসহ দুই পক্ষই হাতাহাতিতে জড়ায়

0

বিশেষ প্রতিনিধি রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে শাহবাগ থানায় মারধরের সত্যতা পেয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। গত ৯ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় কমিটি আজ মঙ্গলবার বরখাস্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশীদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে জমা দেবে। সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার বলেন, ‘তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন কমিশনার বরাবর মঙ্গলবার জমা দেবে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশনার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সেটা তিনি করবেন। অথবা প্রয়োজন পড়লে আইজিপির কাছে পাঠাবেন।

এদিকে পুলিশের করা ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন বারডেম হাসপাতালে গিয়েছেন জেনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে সেখানে যান তাঁর স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন। সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় এডিসি হারুনের। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়ায় উভয় পক্ষ। এক পর্যায়ে হারুন ও সানজিদা ঢুকে পড়েন হাসপাতালের ইটিটি রুমে। পরে হাসপাতাল থেকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে মারধর করেন হারুন ও তাঁর সহযোগীরা। তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন, এডিসি সানজিদাসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।তদন্ত কমিটি সূত্র বলছে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই প্রতিবেদনে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুপারিশ করা হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার।৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমসহ আরেক নেতাকে শাহবাগ থানায় ব্যাপক মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন-অর-রশীদ এই মারধরে নেতৃত্ব দেন। এ ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হলে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

About Author

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More