ষ্টাফ রিোপর্টার/- এই প্রথমবারের মতো সরকার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি করবে বলে শনিবার (৫ অক্টোবর) দিল্লিতে দুই দেশের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।বিবিসি বাংলার এক খবরে জানানো হয়, এই প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে বুলেট ট্রাকে চাপিয়ে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে যাওয়া হবে ত্রিপুরার বিশালগড় বটলিং প্ল্যান্টে। তারপর সেখান থেকে তা সরবরাহ করা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে। তাতে এলপিজি সিলিন্ডার অনেক কম পরিবহন খরচে আর কম সময়ে পৌঁছে দেয়া যাবে ওইসব দুর্গম এলাকায়।
ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) রফতানির জন্য একটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতে গ্যাস রফতানি কতটা সমীচীন হবে, তা নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। কিন্তু শনিবার হাসিনা-মোদি বৈঠকে সেই বিতর্কের অবসান হয়েছে।
বলা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও দিল্লিতে তার বক্তৃতায় এই বিষয়টিতেই জোর দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে আজকের এই এলপিজি-আমদানিসহ এই নিয়ে গত একবছরে আমি অন্তত ডজনখানেক প্রকল্পের উদ্বোধন করলাম। যার সবগুলোরই লক্ষ্য এক-আমাদের নাগরিকদের জীবনের মানে উন্নতি ঘটানো। আর এটাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলমন্ত্র।’
গ্যাস আমদানি ছাড়াও ফেনী নদীর পানি ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে সরবরাহ করা হবে বলেও বৈঠক শেষে জানানো হয়। তবে এদিন দুদেশের বৈঠকে বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তা নদীর পানিবণ্টন কিংবা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বিশেষ অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। বিগত কয়েক বছর ধরেই শীর্ষ পর্যায়ে যেকোনো ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকছে তিস্তা চুক্তি বা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মতো বিষয়।
এমনকি দুদেশের যৌথ বিবৃতিতে ভারতের বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসির প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়নি।