পুলিশ বাহিনী নিয়ে মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্ট

0
অনলাইন ডেস্কঃ দেশের স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। একই সঙ্গে কোনো ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘পুলিশকে সহযোগিতা করুন এখন দরকার স্থিতিশীলতা’ শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে ও আরও কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায়, সে জন্য সরকার আন্তরিক বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

পুলিশকে সহযোগিতা করুন এখন দরকার স্থিতিশীলতা

গত কয়েক দিন পুলিশই নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণের মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ অ্যাকটিভ (সক্রিয়) হয়েছে বলেই বনানীর ছিনতাইয়ের হামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন; কিন্তু তারাও পুলিশ ছাড়া একা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন না। পুলিশ পুরোপুরি অ্যাকটিভ না হলে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়ে যায়।

পুলিশের মনোবল একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু জনগণের পক্ষে পুলিশিং করতে যতটুকু সংস্কার ও সময় দরকার, তা না থাকলে পুলিশ সেরে উঠতে পারবে না। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেরে ওঠার ও সংস্কারের সময় দিতে হবে। এ নিয়ে তাড়াহুড়ার ফল বিরূপ হতে বাধ্য।

আর হ্যাঁ, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই স্বল্পমেয়াদী কিছু সংস্কার হবে। আপনারাও কীভাবে নাগরিকবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে স্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে আসুন।ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, আর কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় সেজন্য সরকার আন্তরিক। কিন্তু, একটা নাগরিক আন্দোলন যাতে অভ্যুত্থানবিরোধী কুচক্রীদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সে দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির ওপর বর্তায়। কোনো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না এবং অস্থিতিশীলতা বা মব তৈরির প্রচেষ্টা চলতে দেওয়া যাবে না।

সরকার আন্তরিক, উদ্যোগী এবং নাগরিকদের দাবি প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু, মব মানসিকতা থেকে বের হতে না পারলে এবং পুলিশকে কাজ না করতে দেওয়ার শর্ত তৈরি করলে- এ সকল অস্থিতিশীলতার দায় স্যাবোটাজকারীদের নিতে হবে। আর, মনে রাখবেন – Justice Hurried, Justice Burried. যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে মবের বিচারের মানসিকতা আমাদের পরিত্যাগ করা উচিত। অভ্যুত্থানের সরকারবিরোধী হঠকারী শ্লোগান বাদ দিয়ে কার্যকর রূপরেখা নিয়ে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়া উচিত। সমাধান সম্ভব। বাংলাদেশ সবার, সকল নাগরিকের। নাগরিকের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান। কিন্তু, নাগরিক আন্দোলন মব সন্ত্রাস কিংবা মব জাস্টিসের দিকে যাওয়া প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে।সরকারবিরোধিতা কোনো ফ্যাশন স্টেটমেন্ট না, কমরেডস! গণ-অভ্যুত্থানের সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান রইল। সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান খুঁজতে হবে৷

- Advertisement -

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.