কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি শিয়ালের কামড়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার দুটি গ্রামে পাঁচ নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে লাভলী আক্তার নামে এক গৃহবধূকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কোদালিয়া ও ঘাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ একটি ‘পাগলা’ শিয়াল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে কোদালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়ির উঠানে চলে আসে। এ সময় তার স্ত্রী লাভলী আক্তার উঠানে কাজ করছিলেন। শিয়ালটি তার হাতে-পায়ে কামড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাদেরকেও কামড়ায়। এ সময় শিয়ালের কামড়ে আরো অন্তত ছয়-সাতজন আহত হন। পড়ে উত্তেজিত জনতা শিয়ালটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। স্বজনরা লাভলী আক্তারকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডাক্তার ফারুক প্রধান বলেন, শিয়ালের আক্রমণের শিকার উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল, শরীফ মিয়ার স্ত্রী মুন্নি, সিরাজ উদ্দিনের মা জুলেখা, প্রবাসী আজিজুল হক, আলমের ছেলে সাব্বির ও ঘাগড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মাসুদা। তারা বুধবার সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালে এসে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।