তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অহযোগ আন্দোলনের সময় সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। সরকারি দুই সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এ নির্দেশ কার্যকর করেছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৫ জুলাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগ হোয়াটসঅ্যাপে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয়। এরপর দ্রুত একই নির্দেশনা আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও।
১৬ জুলাই দুপুরে বিটিআরসি আরও ৫৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয়, যা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে করা হয়।
একটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিটিআরসির কমিশনার জানিয়েছেন, ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হতো না।
১৮ জুলাই সন্ধ্যায় বিটিআরসি ব্যান্ডউইডথ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে জুনাইদ আহ্মেদ পলক নিজেই ফোন করে ইন্টারনেট বন্ধের জন্য নির্দেশ দেন। ৫ আগস্টেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১৭ জুলাই থেকে এনটিএমসি ইন্টারনেট বন্ধের নতুন নির্দেশনা দিতে শুরু করে। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে এনটিএমসি মোবাইল অপারেটরদের ফেসবুক ও ইউটিউব বন্ধ করার নির্দেশ দেয় এবং রাত ১২টা থেকে সব মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে ৬ আগস্ট সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।