ষ্টাফ রিপোর্টার/-‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে জনসমক্ষে ধূমপান নিষেধ, জরিমানা আরোপসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। এই ধরনের আইন-নীতি-পদক্ষেপ জনসমক্ষে ধূমপানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে, যা জনসমক্ষে ধূমপানকে অনেকটা কমিয়ে এনেছে। সংসদ সদস্যরা এলাকাভিত্তিক গ্রুপ করে সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার, খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইনভিত্তিক ক্যাম্পেইন, নিয়মিত ব্যায়াম সম্পর্কে অবহিতকরণ, সাইকেল র্যালি, সকালে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস তৈরিতে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী এলাকায় অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা যেতে পারে।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘হৃদরোগ, ক্যানসার, রক্তচাপ ইত্যাদি অসংক্রামক (নন-কমিউনিকেবল) মরণব্যাধি জীবনের জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকি তৈরি করে। এই অসংক্রামক ব্যাধিগুলো থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধ ও সচেতনতার জায়গাটি খুবই সুসংহত করতে হবে। সংসদ সদস্যরা এক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারেন।’
বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘এনগেজিং পার্লামেন্টেরিয়ান্স ইন কন্ট্রোলিং নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডি)’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে আনলাইনে যুক্ত স্পিকার বলেন, ‘তামাক সেবন, কায়িক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের মধ্যে না থাকা, অসম খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি কারণগুলো অসংক্রামক ব্যাধির জন্য অনেকাংশে দায়ী। পরোক্ষভাবে নারী-শিশুরাও তামাকের কুপ্রভাবের শিকার হয়ে থাকে। এর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। ক্ষতিকর প্রভাবগুলো অবহিতকরণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলার সুযোগ বাড়ানো গেলে অসংক্রামক ব্যাধিগুলো রোধ করা সম্ভব।’
সুস্থ জাতি নিশ্চিতকরণে সংসদ সদস্যরা, ডাক্তারসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আ ফ ম রুহুল হক এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, অপরাজিতা হক এমপি, শিরীন আক্তার এমপি, আরমা দত্ত এমপি, নাহিদ ইজাহার খান এমপি, পীর ফজলুর রহমান এমপি, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, জাকিয়া নূর এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি, সৈয়দা রুবিনা মিরা এমপি, নাহিম রাজ্জাক এমপি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের অনারারি সভাপতি গাব্রিয়েলা কুয়েভাস ব্যারন, কিডনি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ডা. হারুন-উর-রশিদ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, টোব্যাকো ফ্রি কিডসের পরিচালক বন্ধন শাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক বক্তব্য রাখেন।