ঝালকাঠি প্রতিনিধি/- বর্ণিতা হালদার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় চিকিৎসক ডা. সুরেন্দ্রনাথ বড়ালকে ডেকে আনা হলে তিনি একটি ইনজেকশন দিয়ে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু স্বামীর পরিবার এ বিষয়ে গড়িমসি করে। পরে বেলা আড়াইটার দিকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রোববার শতদশকাঠী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। বর্ণিতা হালদার ওই গ্রামের সুকেশ হালদারের স্ত্রী। খবর পেয়ে রাতে ঝালকাঠি থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ণিতার স্বামী সুকেশ হালদার এবং চিকিৎসক ডা. সুরেন্দ্রনাথ বড়ালকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে ২০০৫ সালে সুকেষ হালদারের সঙ্গে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ডোমজুরি গ্রামের পরেশ বৈদ্যের কন্যা বর্ণিতার বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নিহতের বাবার বাড়ির লোকেরা দাবি করেছেন স্বামীর পরিবারে বর্ণিতা প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হত। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুল হক আকন্দ জানান, স্বামীর পরিবারের অবহেলার কারণে এই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।