হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পরকীয়া সন্দেহে গৃহবধূ ও প্রতিবেশী এক যুবককে গাছে বেঁধে মুখমন্ডলে কালি মেখে নির্যাতনের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ঘোষবেড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন হালুয়াঘাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের দুদু মিয়ার পুত্র নাজমুল ইসলাম (৩৫) ও দক্ষিণ ঘোষবেড় এলাকার আ: খালেকের পুত্র আবু সাঈদ (৫০)। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে গৃহবধূ বাদী হয়ে ৭ জনকে বিবাদী করে হালুয়াঘাট নারী ও নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম। থানা পুলিশ ও বাদীপক্ষের অভিযোগসূত্রে জানা যায়, সন্দেহ থেকে নির্যাতন ও অপবাদের শিকার গৃহবধূ স্বামীর বাড়ীর থেকে বেশ কদিন আগে দাদীর বাড়িতে আসেন। ওই গৃহবধূ বেড়াতে এসে জানতে পারেন দাদী প্রতিবেশী ইসহাক নামে এক যুবকের কাছে নতুন মোবাইল কেনার কিছু টাকা দিয়েছেন। ঘটনার দিন দুপুরে প্রতিবেশী ওই যুবক মোবাইল কিনে নিয়ে এসে ডাকাডাকি করে কারো কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ঘটনার শিকার ওই গৃহবধূ বেড়িয়ে আলাপকালে মামলায় বিবাদী করা হৃদয় (২১) নামে ওই কিশোর অন্যান্য বিবাদীদের সাথে নিয়ে পরকীয়া লিপ্ত ছিল বলে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে প্রতিবেশী ওই যুবকসহ গৃহবধূকে গাছে বেঁধে অবরুদ্ধ করে রাখে। অবরুদ্ধের পাশাপাশি তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মুখমন্ডলে কালি মেখে করা হয় নির্যাতন। ভক্তভোগীদের প্রতি এমন অবিচার দেখে স্থানীয় অন্যান্যরা থানা পুলিশকে অবহিত করে। এমন ঘটনার সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাদেরকে মুক্ত করে থানা হেফাজতে আনা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার থানা পুলিশসহ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন। পরিবারের সদস্যরা আরো দাবি করেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন জড়িতরা। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, গৃহবধূর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে দুজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্যান্যদের ধরতে মাঠে কাজ করছে থানা পুলিশ।