নড়াইল প্রতিনিধি নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে সদর থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন।স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের সামনেই এই হামলার ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করেছে।
সোমবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দে সময় নড়াইল সদরের সদস্য প্রার্থী খোকন সাহা এবং ওবায়দুর রহমান একই প্রতীক নিয়ে দ্বন্দ বাধে। এ সময় হট্টগোলের সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সুবাস বোসের সমর্থকেরা বিদ্রোহী প্রার্থী লিটুর সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রায় ১৫ জন সমর্থক হামলার শিকার হয়।বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, আমার সমর্থনকারী সৈয়দ নওয়াব আলী প্রতীক আনতে যান। সেখানে আমার পক্ষের প্রায় ১৫ জন লোকের ওপর হামলা হয়। এতে কমপক্ষে আটজন সর্মাথক আহত হয়। এটা নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্গনের শামিল। এটা সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষন না। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস বোস বলেন, একই প্রতীক নিয়ে বাগবিতাণ্ডা হওয়ায় আমার লোকজনের সঙ্গে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদর রহমান পুলিশের সামনে হঠাৎ সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ মারামারি ঠেকিয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, গণ্ডগোলের কথা শুনেছি, প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমরা বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।