নিষেধাজ্ঞার কবলে গ্যাডটের সিনেমা

0
বিনোদন ডেস্কঃ হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী গাল গ্যাডট। ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’খ্যাত এ অভিনেত্রী ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত এবং ইসরায়েলের সাবেক সেনা সদস্য ছিলেন। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে গণহত্যায় এ অভিনেত্রী নিজ দেশ ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনও ব্যক্ত করেন। যার ফলে বেশ তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে।

- Advertisement -

সাম্প্রতিক সময়ে ‘হলিউড ওয়াক অব দ্য ফ্রেমে’ জায়গা পেয়ে সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েও ফিলিস্তিনপন্থীদের প্রতিবাদের মুখে পড়েন তিনি। আর এবার ইসরায়েল ইস্যুতে লেবাননের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিতে বাধা পেল তার সিনেমা।
ভ্যারাটির প্রতিবেদন অনুসারে, ডিজনির নতুন লাইভ-অ্যাকশন চলচ্চিত্র ‘স্নো হোয়াইট’ লেবাননের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে না। সিনেমাটিতে ‘ইভিল কুইন’ চরিত্রে ইসরায়েলি অভিনেত্রী গাল গ্যাটডের উপস্থিতিই এর একমাত্র কারণ।লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ আল-হাজ্জার এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে লেবাননে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ায় দেশের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এ নিষেধাজ্ঞা কোনো নতুন বিষয় নয়। বৈরুতভিত্তিক মিডল ইস্ট ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থা ইতালিয়ান ফিল্মস জানিয়েছে, গ্যাটড অনেক আগে থেকেই লেবাননের ‘ইসরায়েল বয়কট তালিকায়’ রয়েছেন।সে কারণে তার অভিনীত কোনো চলচ্চিত্রই লেবাননে মুক্তি পায়নি। একই সঙ্গে কুয়েতেও ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছে, এমন কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও সেগুলোকে ভুল সংবাদ বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গাল গ্যাডট একজন সাবেক ইসরায়েলি সেনা ও বরাবরই নিজের দেশের পক্ষে সরব। ২০২৩-এর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তিনি ইসরায়েলের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেন। মার্চে নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি কখনো কল্পনাও করিনি যে আমেরিকা ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ হামাসের হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করবে বা উৎসাহিত করবে।’

তবে শুধু গ্যাডটই নন, এর আগে গ্যাটডের মতো আরেকজন ইসরায়েলি অভিনেত্রী শিরা হাস অভিনীত মার্ভেলের ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’ সিনেমাটিও একই কারণে লেবাননে নিষিদ্ধ হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরেই লেবাননের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। দিন দিন তা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ইসরায়েলি শিল্পীদের জড়িত থাকা চলচ্চিত্র বা বিনোদনমূলক কনটেন্ট লেবাননে রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার শিকার হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ লেবানন সরকারের নেওয়া দীর্ঘদিনের বয়কট নীতি।

পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষের কারণে। জনগণের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী আবেগ বেড়েছে এবং সরকারও সিনেমা বা কনটেন্ট নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সব মিলিয়ে হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষ কেবল সীমান্ত বা রাজনৈতিক পর্যায়ে নয়, লেবাননের সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতেও সরাসরি প্রভাব ফেলছে।

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.