ষ্টাফ রিপোর্টার/- গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়াহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আব্দুস ছাত্তার (৪০) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৯ জনের মৃত্যু হলো। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মারা যান তিনি। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা অফিসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হচ্ছেন-তিতাসের ফতুল্লা অফিসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী এস এম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, সাহায্যকারী মো. হানিফ মিয়া এবং প্রো-কর্মী মো. ইসমাইল প্রধান।
ভর্তির পর ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত ৩৭ মুসল্লিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবারই ডিপবার্ন রয়েছে। শতাংশের হিসেবে কোন রোগীর কতটুকু বার্ন হয়েছে তা তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। কেউ শঙ্কামুক্ত নন।
এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস একটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।