কুমিল্লা প্রতিনিধি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি ও দলের অঙ্গসংগঠনের ৫০১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন।
দেলোয়ার হোসেন জানান, বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলের নামে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ওসি পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। একই সঙ্গে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাধন চন্দ্র নাথ বাদী হয়ে ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০০ থেকে ৪৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনেক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ’ তবে গ্রেপ্তার আসামিদের নাম-পরিচয় ও মামলার প্রধান আসামির নাম জানাননি তিনি।জানা গেছে, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে বুধবার সকালে নাঙ্গলকোট সদরে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। ওই দিন সকাল থেকে পৌর বাজারের খিলা সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। কর্মসূচির অনুমতির বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় দুই দলের নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশসহ আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। ঘটনার পর থেকে নাঙ্গলকোটে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।