নয়াদিল্লিতে সেফ হাউজে নেয়া হচ্ছে শেখ হাসিনাকে

0

লাষ্টনিউজ২৪: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা শেখ হাসিনা দিল্লি পৌঁছেছেন। ভারতীয় সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (০৫ আগস্ট) ভারতের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে শেখ হাসিনার বহনকারী হেলিকপ্টার। জানা গেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের ওই বিমান ঘাঁটি দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে। শেখ হাসিনাকে এখন নয়াদিল্লিতে একটি সেফ হাউজে নেয়া হচ্ছে।

 

- Advertisement -

ভারতীয় সরকার সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা অন্তত “কয়েকদিন” দিল্লিতে থাকবেন। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের লাইভে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির কাছের গাজিয়াবাদে (উত্তর প্রদেশ) সেনাবাহিনীর হিন্দন বিমানঘাঁটিতে স্থানীয় সময় ৫টা ৩৬ মিনিটে অবতরণ করে শেখ হাসিনার বিমান। এ সময় ভারতের সেনা কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। সেখান থেকে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।

 

এর আগে সোমবার (০৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। পরে এ খবর খুব গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি, আল জাজিরাসহ প্রায় সব আন্তর্জাতিক মিডিয়া একইরকম তথ্য প্রকাশ করে।

 

ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে ইস্তফা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে সময় বেঁধে দেয়া হয়। ৪৫ মিনিট সময় তাকে দেয়া হয়েছিল বলে ওই সূত্র দাবি করেন। তবে অন্য একাধিক সূত্রের দাবি, পুরো বিষয়টিই হয়েছে সেনাবাহিনী এবং দিল্লির সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে হয়েছে। তার পরেই হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন।

 

এদিকে বিকেল ৩টার দিকে গণভবন দখলে নেয় ছাত্র-জনতার ঢল। সব বাধা পেরিয়ে তারা গণভবনের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। পরে সংসদ ভবনেও তাদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পায়ে হেটে বিজয় মিছিলে অংশ নেন। বিকেল ছয়টা পর্যন্তও রাস্তায় মানুষের বিজয় মিছিল করতে দেখা গেছে।

 

এদিন শাহবাগে জড়ো হওয়া বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর পেয়ে মানুষ গণভবনের দিকে বিজয় মিছিল নিয়ে ধাবিত হয়। এর আগে রোববার একদিন এগিয়ে আনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য সোমবার সকাল ১০টার পর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থী। তবে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.