LastNews24
Online News Paper In Bangladesh

নদী খননে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি

0

বিশেষ প্রতিনিধি অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ নদ-নদী খনন ও নিয়মিত পলি অপসারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার ২১ জন নাগরিক। নৌযান মালিকদেরকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি বন্ধ এবং যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, যাত্রীবাহী নৌযানের বার্ষিক সার্ভে (ফিটনেস), রুট পারমিট ও সময়সূচি পেতে মালিকেরা নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।এসব কারণে বিভিন্ন ধাপে অহেতুক অর্থব্যয় হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন নদীবন্দরের টার্মিনাল ও নৌঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যাত্রীসেবার মান সন্তোষজনক নয়। এসব কারণে নৌপথে যাত্রী কমতে শুরু করেছে।নাগরিকবৃন্দ অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিলুপ্ত নৌপথ পুনরুদ্ধারে বড় নদীগুলো খননের জন্য একাধিক মেগাপ্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাঙ্খিত সাফল্য আসেনি। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহীর কমিটির (একনেক) সভায় চার হাজার ৩৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই ও পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ প্রকল্প অনুমোদন হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও প্রায় চার বছরেও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি।

নৌপথের নাব্য সংরক্ষণে ড্রেজিং-এ (পলি অপসারণ) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই অভিযোগ করে বিবৃতিদাতারা বলেন, নাব্য সংকটের কারণে ঢাকা-বরিশালসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নৌপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী বড় নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে অনেক লঞ্চ ও পণ্যবাহী জাহাজমালিক তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করার চিন্তাভাবনা করছেন। নাগরিকবৃন্দ বিদ্যমান সংকট নিরসনে সেবার মান বৃদ্ধিসহ নৌখাতের সার্বিক উন্নয়ন এবং নদী খনন ও পলি অপসারণের তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত গণমাধ্যমে প্রকাশের দাবি জানান।বিবৃতিদাতারা হলেন- কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট শিশুসংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিতরঞ্জন দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) কার্যকরী সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নৌপ্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিকলাল ঘোষ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম, সচেতন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাকিলা পারভীন, প্রভারটি ইমুলিনেশন এ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, কবি ও শিশুসংগঠক রাজন ভট্টাচার্য, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, ঢাকা উত্তর নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল আকন্দ, পুরনো ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন এবং মুক্তি শিখার আহ্বায়ক জিহাদ আরিফ।

About Author

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More