দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি। সরকার পতনের পর অচলাবস্থার মধ্যে গত ১৮ আগস্ট একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৯টি আবাসিক হলে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের ফিরে আসা এবং ক্লাস-পরীক্ষা চালু হলেও এক প্রকার অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করে। ভিসিসহ প্রশাসনিক পদগুলো শূন্য। নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়ে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মাস উপাচার্য না থাকা কিংবা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা না থাকায় কাজে কিছুটা স্থবিরতা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে সেসন জোটের আশংকা করছেন শিক্ষার্থীরা।শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষককে। পরে রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যোগ্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে গতিশীলতা।এদিকে, সংকট নিরসনে আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কীটতত্ত্ব বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক হাসান ফুয়াদ এলতাজ।বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি অনুষদে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১২ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ৩৮০ জন শিক্ষক, আর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা ৭১৮ জন। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, প্রশাসনিক কাজে পুরোপুরি গতি ফিরিয়ে আনতে ও অচলাবস্থা নিরসনে উপাচার্য নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। ডাইনিং চালু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। উপাচার্য না থাকায় সনদপত্র তুলতে পারছেন।এ ব্যাপারে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড, হাসান ফুয়াদ এলতাজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন সর্বোচ্চ অভিভাবক। নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়ে। যদিও ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করা গেছে। রুটিন দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আমার নেয়া দায়িত্বটা রুটিন ওয়ার্ক। এটা সাময়িক। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ব্যাপক কার্যক্রম সেটা স্থগিত করে যেগুলো জরুরি সেবা সেসব দেয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি অচিরেই এখানে একজন পূর্ণাঙ্গ ভাইস চ্যান্সেলর আসবেন এবং পুরোপুরি কার্যক্রম চালাবেন।