পিরোজপুর প্রতিনিধি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আলিম প্রথম বর্ষের এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে রবিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা করেন।পুলিশ ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষণের শিকার মাদরাসাছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ সোমবার পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় পাঠানো হয়েছে।মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গিলাবাদ গ্রামের চট্টগ্রামে কর্মরত গার্মেন্টকর্মী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আয়শা বেগম তার বাড়িতে একা থাকায় রাতে ঘুমানোর জন্য প্রায়ই প্রতিবেশী ওই মাদরাসাছাত্রীকে ডেকে নিতেন। গত ২৩ মে ওই ছাত্রী গভীর রাতে শহিদুল ইসলামের বাসার ছাদে প্রেমিক হেলালের (৩৫) সঙ্গে কথা বলতে যায়।বিষয়টি একই গ্রামের আবদুল কাদের খাঁর পুত্র রিয়াজ খাঁ (২২) টের পেয়ে সুপারিগাছ বেয়ে ওই বাসার ছাদে উঠে প্রেমিক হেলালকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে সে মাদরাসাছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ছাত্রীর দিনমজুর বাবা বলেন, ‘শ্রমিকের কাজ করতে আমি সম্প্রতি ফরিদপুরে যাই। বাড়ির পাশের শহিদুলের স্ত্রী বাসায় একা থাকায় প্রায়ই তার মেয়েকে ঘুমানোর জন্য ডেকে নিত। মেয়ের এমন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। ঘটনা জানতে পেরে আমি অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে থানায় মামলা করেছি। ‘মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামি আয়শা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আজ সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।