LastNews24
Online News Paper In Bangladesh

দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে গ্রাম আদালত সম্প্রসারণ করছে সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি দরিদ্র ও অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সারা দেশের গ্রাম আদালতের চূড়ান্ত পর্যায় বাস্তবায়নে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জনাব তাজুল ইসলাম।আজ বুধবার (১৫ জুন) ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপিকে তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী বক্তব্য প্রদান করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের মাধ্যমে জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতে এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মাধ্যমে দ্রুত সময়ে বিচারিক সেবা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সরকার গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ সংশোধন করে এটিকে আরও কার্যকর ও জনবান্ধব করতে কাজ করছে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি বলেন, ‘কোনো আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা ছাড়াই ন্যূনতম খরচে ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম আদালত একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে প্রমাণিত। ইইউ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের ৩য় পর্যায় সম্প্রসারণ করে সারাদেশে গ্রাম আদালত সেবার কার্যকারিতা নিশ্চিতে আরও ২৫ মিলিয়ন ইউরো প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ।ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি জনাব সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের বাস্তবায়ন একটি সফলতম বিনিয়োগ। এ প্রকল্প গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করেছে এবং টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা পালন করছে। ৩য় পর্যায়ের এ প্রকল্প গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্প্রসারণ আগামীতে দেশব্যাপী পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অভিযোগ শনাক্তকরণের মাধ্যমেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় সমাধান সম্ভব হয়।ইইউ, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের ত্রি-পক্ষীয় অংশীদারিত্বে এবং আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পে এক হাজার ৮০টি ইউনিয়নের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে কাজ চলছে। ২য় পর্যায়ে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৮টি মামলা দাখিল করা হয়। এর মধ্যে ৩০ শতাংশই করেছেন গ্রামীন নারীরা। এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ মামলার নিষ্পত্তি হয়, যার মাধ্যমে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৬ জন উপকৃত হন।

About Author

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More