খেলা ডেস্ক আগের ম্যাচেই পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থানটা পাকাপোক্ত করার সুযোগ ছিল গুজরাট টাইটানসের। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সহজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে আজ সে ভুল করেনি। রাজস্থান রয়্যালসকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। আগে ব্যাট করা রাজস্থানকে ১১৮ রানে অলআউট করেছে গুজরাট। সে রান গুজরাট টপকে যায় ৯ উইকেট ও ৩৭ বল হাতে রেখেই। এই জয়ের পর ১০ ম্যাচ খেলা গুজরাটের পয়েন্ট ১৪। রান তাড়ার কাজটা সহজ করে দিয়েছে গুজরাটের দুই ওপেনার শুবমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। দুজন মিলে ওপেনিং জুটিতে ৭১ রান যোগ করলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রাজস্থান। রানের তাড়া না থাকায় গিল খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে। কিন্তু ঋদ্ধিমান বরাবরের মতোই ছিলেন আক্রমণাত্মক। যে কারণে ৩৫ বল খেলে ৩৬ রান করে গিল আউট হলেও রান তাড়ার চাপ গুজরাটকে স্পর্শ করেনি। উল্টো তিনে নামা অধিনায়ক পান্ডিয়ার ক্রিজে এসেই বিস্ফোরক ব্যাটিং ম্যাচটাকে দ্রুতই গুজরাটের নাগালে নিয়ে আসে। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল পান্ডিয়ার ইনিংসে। এর মধ্যে এক ওভারেই ৩টি ছক্কা ও ১টি চারে ২৪ রান নিয়েছেন গুজরাটের অধিনায়ক। ঋদ্ধিমান ৩৪ বল খেলে ৫টি চারের সৌজন্যে অপরাজিত ৪১ রান করেছেন। এর আগে ঘরের মাঠ, চেনা কন্ডিশন—সবকিছু মিলিয়ে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তটা বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই নিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু কে জানত, গুজরাট টাইটানসের বোলাররা এবারের আইপিএলে তাঁদের সেরা পারফরম্যান্সটা আজকের দিনের জন্যই জমিয়ে রাখবেন! জস বাটলার, যশস্বী জয়সোয়াল ও স্যামসনদের নিয়ে সাজানো টপ অর্ডারও এ দিন গতবারের চ্যাম্পিয়নদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। বাটলার তো শুরুতেই পান্ডিয়াকে উইকেট উপহার দিয়েছেন। ছন্দে থাকা আরেক ওপেনার জয়সোয়ালকেও পাওয়ার প্লেতেই হারায় রাজস্থান। রশিদ খানের বলে তিনি রান আউট হন। ৪৭ রানে দুই ওপেনারকে হারালেও অধিনায়ক স্যামসন দ্রুতই রান তুলছিলেন। কিন্তু স্যামসনের ইনিংস দীর্ঘ হতে দেননি আইরিশ অলরাউন্ডার জস লিটল। পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই ২০ বলে ৩০ রান করা স্যামসনকে আউট করেন এই বাঁহাতি। এর পরের গল্পটা দুই আফগান স্পিনারের। এক প্রান্ত থেকে রশিদ, আরেক প্রান্ত থেকে তরুণ নূর আহমেদ—এই দুই স্পিনারের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রাজস্থানের মিডল অর্ডার। দুজন মিলে ৫ উইকেট শিকার করেছেন, রশিদ ৩টি, নূর ২টি। তাঁদের ৭ ওভার থেকে রান এসেছে মাত্র ৩৯। এর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা দলটি। ১৭.৫ ওভারেই থামে রাজস্থানের ইনিংস।