দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও চালু হতে চলেছে হেলিকপ্টার পরিষেবা

0
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে খারাপ রাস্তা আর ধসের কারণে পাহাড়ে যেতে গিয়ে প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয় পর্যটকদের। তা নজরে রেখেই এবার বিকল্প ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে প্রশাসন। সিকিমের মতো দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও চালু হতে চলেছে হেলিকপ্টার পরিষেবা। এর ফলে হেলিকপ্টারে করে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেখতেই পাহাড়ে পৌঁছতে পারবে পর্যটকরা।ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

- Advertisement -

গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। সংস্কার করা হচ্ছে দার্জিলিংয়ের পর্যটনকেন্দ্র মিরিকের পুরনো হেলিপ্যাডটি। এ ছাড়া নতুন দুটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হবে দার্জিলিংয়ের দুতেরিয়া ও কালিম্পংয়ের ডেলোয়।নতুন বছরের আগেই সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ফলে শিগগিরই হেলিকপ্টারে চেপে পাহাড় দর্শন চালু হয়ে যাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রায় দুই দশক আগে দার্জিলিং-গোর্খা হিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই চেষ্টা করেছিলেন সুবাস ঘিসিং। কিন্তু সেই সময় সুখিয়াপোখরি ব্লকের দুতেরিয়াতে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শেষ করা যায়নি।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার সেখানেই হেলিপ্যাড তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে মিরিকে আগে থেকেই একটি হেলিপ্যাড ছিল। সেখান থেকে ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা সফল হয়েছে। তাই পরিষেবা শুরু করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই পরিষেবায় খরচ কত হবে, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

দার্জিলিংয়ের আঞ্চলিক পরিবহন কর্মকর্তা সোনম লেপচা বলেন, ‘প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে। কাজ শুরু হতে বেশি সময় লাগবে না। দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষও করা হবে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের আকাশপথে যোগাযোগ ঘটবে।’

অন্যদিকে পাহাড়ে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হলে পর্যটনশিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সিকিম আগেই হেলিকপ্টার পরিষেবায় নজর দিয়েছে। পর্যটকদের নিয়ে সিকিমের এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে ওঠানামা করে হেলিকপ্টার। দার্জিলিং-কালিম্পংয়েও সেই পরিষেবা চালু হলে পর্যটনের পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে পর্যটকদের উদ্ধার করার কাজও করা যাবে।

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.