তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রযুক্তির নেতা, এখানে আপনাদের প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলতে পারেন। আসুন শুরু করুন…।’
তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের সুযোগ দিতে হবে, তাই আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের দেশের কাছে এটাই আমার আবেদন। আমাদের তরুণদের কাজে লাগিয়ে এখানে কারখানা চালু করুন।যাতে আপনারা এ অঞ্চলে আপনাদের পণ্য সরবরাহ করতে পারেন।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক খুবই উষ্ণ। আমরা সব খাতে এটি গড়ে তুলতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু করার আছে, কিছু কিছু কাজ করার জন্য আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন, আপনাদের প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ চাই।’
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের আমদানির ক্ষেত্রে ভারতসহ অন্যান্য বাজারকে প্রতিস্থাপন করতে পারি।অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা থাকতে পারে।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরে তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার এবং আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।
বর্তমানে পোশাক ও টেক্সটাইল, এক্সেসরিজ, কেমিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ এবং জ্বালানি খাতে তুরস্কের প্রায় ২০টি বড় কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে।
এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও মাহফুজ আলম, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব লামিয়া মোর্শেদ, বিডার চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।