আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল ফ্রান্স, স্পেন ও পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের মানুষ। আজ শনিবার রেকর্ড তাপমাত্রা মোকাবেলার প্রস্তুতি ছিল দেশগুলোতে। ধারণা করা হচ্ছিল, জুনের দাবদাহ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছবে শনিবারের আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে।
গত শুক্রবার স্পেনের উত্তর-পশ্চিমের সিয়েরা দে লা কুলেব্রা অঞ্চলের প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমি দাবানলে পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ।পাশের এলাকার আগুনের কারণে কেন্দ্রীয় স্পেনের পাই দু ফোউ থিম পার্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে। এ ছাড়া আরো কয়েকটি অঞ্চলে আগুন নেভানো নিয়ে লড়তে হচ্ছিল অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের। এর মধ্যে রয়েছে কাতালোনিয়ার বনভূমি। সেখানে আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে কঠিন হয়ে উঠেছিল অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের কাজ।স্পেনের বেশির ভাগ অঞ্চলে শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।শুক্রবার ফ্রান্সও ছিল উত্তপ্ত। দেশটির কিছু অংশে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ফ্রান্সসহ ইউরোপের কিছু অংশে বজ্রবৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা শনিবার কিছুটা কমবে।ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানায়, শুক্রবারের তাপমাত্রা তাদের দেশের ১১টি অঞ্চলে জুনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এ ছাড়া শনিবার কিছু অঞ্চলে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পারদ চড়তে পারে বলেও সতর্ক করে দপ্তরটি।
ফরাসি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে অনেক হাসপাতাল অসুস্থ মানুষে ভরে উঠেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ হটলাইন চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি অঞ্চলে স্কুল শিক্ষার্থীদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। বয়স্ক মানুষের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবনে পানি ছিটিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হচ্ছে। বাসিন্দাদের পালাক্রমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।এদিকে উত্তর ইতালির বেশ কিছু শহরে পানি ব্যবহারের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রেকর্ড খরার মুখে ফসল হুমকির মুখে পড়ায় দেশটির লোম্বার্ডি অঞ্চল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের কিছুটা বাইরে থাকা দ্বীপদেশ যুক্তরাজ্যও শুক্রবার নিজেদের এ বছরের এ পর্যন্ত সবচেয়ে তপ্ত দিন পার করেছে। বিকেলের প্রথম ভাগে সেখানে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।