LastNews24.com
At last news on first everyday everytime

তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি, শঙ্কায় আম চাষিরা

0

দিনাজপুর প্রতিনিধি  বৈশাখ মাসের প্রচণ্ড খরা ও তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। দিনাজপুর অঞ্চলে টানা তাপদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির দেখা নেই এ অঞ্চলে। তাপদাহে  জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি। ক্ষতি হচ্ছে ভূট্টা, পাটসহ অন্যান্য ফসলেরও। এতে বাগান মালিকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অনেকে আমের গুটি ঝরে পড়ারোধে বাগানে সেচ দিচ্ছেন। তবে তাতেও তেমন কোন কাজ হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে কৃষি বিভাগ আপদকালীন এ দুর্যোগে দিনে কমপক্ষে দুই বার বাগানে পানি সেচ ও আমের ডগায় পানি ছিটিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এ নিয়ে আম বাগান মালিক ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন আম চাষি জানায়, আম গাছগুলোতে ভালোই আমের মুকুল ধরেছিল। পরিচর্যা করায় সেগুলো টিকেও ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রচণ্ড খরায় পানি শূন্যতার কারণে আমের বোঁটা লাল হয়ে গুটিগুলো আস্তে আস্তে মাটিতে ঝরে পড়ছে। এমনিভাবে আম ঝরে পড়তে থাকলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এ সময় আমের গুটি বড় হয়। অথচ তাপদাহের কারণে আমের গুটিগুলো ঝরে পড়ছে। তারপরেও অনেকে গাছের পরিচর্যা করছেন। কিছু বাগান মালিক ডিজেল চালিত শ্যালোমেশিন দিয়ে গাছের গোড়ায় পানি সেচ দিচ্ছেন। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সেচ দিতে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে। কয়েক বাগানে দেখা গেছে, গাছের নিচে আমের গুটি বিছিয়ে পড়ে আছে। কয়েকজন মৌসুমী আম ব্যবসায়ী ও চাষি জানান, প্রতিবছরই আমরা আম চাষ করি। কিন্তু এ বছরের মতো এমন প্রতিকূলতার মধ্যে কোনোবারও পড়িনি। মৌসুমের শুরুতেই গাছে মুকুল ভরা ছিল। আমের গুটিও ভালোই ধরেছিল। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় গুটিগুলো ঝরে পড়ে যাচ্ছে। ফলে এ বছর আমের ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা শারমিন জানান, গত কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি হয়নি। ফলে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। তাপমাত্রাও বেশি। অতিরিক্ত খরার কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। বাগানের মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আম চাষিদের সকল প্রকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে বাগানগুলোতে শতভাগ সেচ দেয়া অসম্ভব। বৃষ্টি না হলে আমের ফলনে বিপর্যয় হতে পারে। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে চিরিরবন্দরের ৯৩৮ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার মেট্রিক টন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.