আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালানোর সময় ড্রোন হামলায় শিশুসহ ২০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। সোমবার মিয়ানমারের উপকূলীয় শহর মংডুর কাছে এ হামলা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
চারজন প্রত্যক্ষদর্শী, অধিকারকর্মী ও একজন কূটনীতিকের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, হামলায় ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ ইলিয়াস (৩৫) জানান, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর মারা গেছেন। ইলিয়াস বলেন, “উপকূলে জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর ড্রোন হামলা শুরুর সময় আমি স্ত্রী-সন্তানকে পাশে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন আমি একাধিক গোলাবর্ষণের বিকট শব্দ শুনতে পাই।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী শামসুদ্দিন (২৮) জানান, হামলার পর অনেকে মরে পড়ে ছিল এবং কিছু মানুষ তাদের আঘাতের যন্ত্রণায় চিৎকার করছিল।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি একে অপরকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছে। তবে হামলার দায় অস্বীকার করেছে আরাকান আর্মি। রয়টার্স ভিডিওগুলোর স্থান যাচাই করে নিশ্চিত করেছে যে ঘটনাটি মংডুর ঠিক বাইরে ঘটেছে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। আরাকান আর্মি রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে দখল নেওয়ার পর থেকে রোহিঙ্গারা আবারও দেশ ছাড়তে শুরু করেছে।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে এবং রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।