মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, বাজুস দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন।
বাজুসের ১৪ নির্দেশনার মধ্যে আছে
১. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ৪-সি (কালার, ক্ল্যারিটি, ক্যারেট, কাট) মানতে হবে।
২. ডায়মন্ড জুয়েলারিতে শুধুমাত্র ন্যাচারাল ডায়মন্ড-এর অলংকার বিক্রি করা যাবে।
৩. প্রাকৃতিক ডায়মন্ড-এর নামে সিডে বা কিউবিক জিরকন, এডি (আমেরিকান/আর্টিফিশিয়াল ডায়মন্ড), সিভিডি ল্যাবগ্রোন/সিনথেটিক ডায়মন্ড, এইচপিএইচটি (ট্রিটেড/পরিবর্তিত) ন্যাচারাল ডায়মন্ড, মোজানাইট বিক্রি করা যাবে না।
৪. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মান- কালার, ক্ল্যারিটি থাকতে হবে।
৬. ডায়মন্ড জুয়েলারিতে ১৮ ক্যারেটের নীচে সোনা ব্যবহার করা যাবে না।
৮. ডায়মন্ডের অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার নিকট থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বাদ দিতে হবে (ভ্যাট বাদে মোট মূল্যের ওপর)।
৯.ডায়মন্ডের অলংকারের ক্ষেত্রে যদি সোনার ক্যারেট, ওজন ও সেন্ট’র গড়মিল পাওয়া যায় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে যদি সরকারি সংস্থা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে বাজুস কোন দায় দায়িত্ব নিবে না।
১০.ডায়মন্ড জুয়েলারির প্রতিটা পণ্যের ট্যাগে বাধ্যতামূলক বিক্রয় মূল্য থাকতে হবে।
১২. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট প্রদান করা যাবে। যদি কোন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম অমান্য করে তাহলে ৫ লাখ টাকা জরিমানাসহ বিধি মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৩. বাজুসের তত্বাবধানে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এই টাস্কফোর্স যে কোন সময় যে কোন প্রতিষ্ঠানের ডায়মন্ডের অলংকারের মান, ওজন যাচাই বাছাই করতে পারবে।
১৪. সর্বোপরি বাজুসের নিয়ম নীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।