গত মঙ্গলবার রাত ও বুধবার কমপক্ষে নয়জনকে এই ধরনের হয়রানিমূলক হুমকি দেওয়া হয়েছে। যাদেরকে হুমকি হয়েছে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত ব্যক্তি।তাদের প্রতিরক্ষা, আবাসন, কৃষি এবং শ্রম বিভাগের নেতৃত্ব প্রদানের জন্য নির্বাচন করা হয়ছে। বাকিদের মাঝে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীতরাও রয়েছেন। ওই দুই দিন কী হয়েছিল, সেই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
মার্কিন গণমাধ্যম অনুযায়ী, এই সপ্তাহে যারা লক্ষ্যবস্তু ছিলেন, তারা কেউই মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস দ্বারা সুরক্ষিত ছিলেন না। ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবেশগত সুরক্ষা সংস্থার প্রশাসক হিসেবে মনোনীত করেছেন লি জেলডিন, যিনি নিশ্চিত করেছেন তাকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবাসন বিভাগের জন্য মনোনীত স্কট টার্নার এবং শ্রম সচিব হিসেবে মনোনীত লরি চ্যাভেজ-ডেরেমারও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, তাদের ওপরও হামলার হুমকি দেওয়া হয়।
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, সিআইএ পরিচালক হিসেবে ট্রাম্পের মনোনীত জন র্যাটক্লিফও হুমকির শিকার হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের ভুয়া কৌশল অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাগুলো পরিচালনাকারী বিচারক ও প্রসিকিউটরদেরকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ঘটনাগুলোর বিষয়ে অবগত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হোয়াইট হাউজ ফেডেরাল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রেসিডেন্ট-ইলেক্টের দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
মার্কিন কংগ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ক্যাপিটল পুলিশ জানিয়েছে, তারা ফেডেরাল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে ‘হয়রানির’ বিষয়ে কাজ করছে। তবে যাতে অন্য কেউ একই প্রক্রিয়া অনুকরণ করে হুমকি না দেয়, সেজন্য তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
গত বছর বড়দিনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের হয়রানি করা হয়েছিলো। তাদের বেশিরভাগই রিপাবলিকান ছিলেন, তবে কিছু ডেমোক্র্যাটও লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন।
সূত্র : বিবিসি
- Advertisement -