টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ॥ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চলে চলতি বছর তিলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা মনে করছেন উপজেলা কৃষি অফিস ও তিল চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বন্যা আসার আগেই তিল ঘরে তুলতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হতে পারবে চরাঞ্চলের তিল চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলে ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ করা হয়েছে। উপজেলার চরাঞ্চল বেষ্টিত অর্জুনা, গাবসারা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের যমুনা চরাঞ্চলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি তিলের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। যতদূর চোখ যায় চারোদিকে তিলের সবুজ গাছের সমাহার। সবুজ গাছগুলোতে তিল ও সাদা ফুলে ভরে গেছে। বেশ কিছু অংশে তিল পরিপক্ক হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তিল কাটতে শুরু করবে তিল চাষীরা। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি এখানকার কৃষকরা।
এদিকে গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষনে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু এলাকার তিল, কাউন, রাধুঁনী সজসহ ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। নিচু জমির ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও বন্যার আগেই তিলসহ উচুঁ জমির অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতে পারবে চরাঞ্চলের কৃষকরা। এমনটাই মনে করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। বর্তমানে যমুনার পানি কমতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছে তিল চাষীদের।ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. হুমায়ুন কবির জানান, চলতি বছরে উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের তিল চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত ফলনশীল জাতের তিলের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের কারণে তিলের বাম্পার হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ বছর যমুনার চরাঞ্চলে ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮৪৬ মেট্টিক টন।