নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল রানা ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুল এর বিরুদ্ধে গত ২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের টিমের পক্ষে দুূুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারক নম্বর-০০০১.০০০০৫.০২.০১.১০১.১৯.২২৯৭৬
নোটিশের কার্যক্রম আজ অবধি অমিংমাংসিত থাকলেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ।
স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত শেখ সোহেল রানার সিলেটে বদলি হলেও রাজু কর্মরত আছেন গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগে।
গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তাদের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অপরাধের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে নিউজ প্রকাশিত হলে, ২৯/০৯/২৪ তারিখ অফিসের আদেশে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল রানা কে সিলেটে বদলি করা হয়েছে।
একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুল এর বিরুদ্ধে একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর, তিনি বদলি ও শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন।
গত ২৯/০৮/২৪ ইং তারিখে ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন কোর্টে মোঃ আব্বাস আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন । যে মামলায় শেখ হাসিনা সহ ৯৫ জন কে আসামি করা হয়েছে। তার ভিতর ৩৩ নং আসামি মোঃ রাজিউজ্জামান রাজু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈনিক লীগ, পিতা-আলিউজ্জামান, ঠিকানা- মিরপুর ১, লেখা আছে এবং ৮৯ নম্বরে শেখ সোহেল রানা সাধারণ সম্পাদক সৈনিক লীগ লেখা আছে।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে , ৩৩ ও ৮৯ নম্বর আসামি দুজনই জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুরে কর্মরত প্রকৌশলী।
একটি সূত্র জানায়, সৈনিক লীগের কমিটিতে চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী,প্রবাসী অনেকেই আছেন যারা বড় অংকের টাকা দিয়ে পদ কিনেছেন। বদলির খবরে একাধিক বিশিষ্ট জন বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে সুনির্দিষ্ট ভাবে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও, বদলী কি শুধু শাস্তি ?
এ বিষয়ে রাদিউজ্জামান রাজুর নিকট জানতে চাইলে বলেন, আমি সরকারি চাকুরিজীবী। আমার রাজনীতি করার সুযোগ নাই। মামলার আসামি রাজিউজ্জামানের সঙ্গে আমার কোন মিল নাই ।