বিশেষ প্রতিনিধি: জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে পিরোজপুরের ৭টি উপজেলায় ৫৬ হাজার ৭৩৭ জন কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৬২৮ জন স্কুল শিক্ষার্থী এবং অন্যরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরী। জেলার ১ হাজার ৫৫২ টি স্কুল এবং ১ হাজার ৩৭২ টি কমিউনিটিতে এ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের এ তথ্য জানানো হয়। এই কর্মসূচির আওতায় ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনামূল্যে এ টিকা প্রদান করা হবে। টিকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে টিকা গ্রহণকারীদেরকে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুরে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এ টিকা কার্যক্রম শুরু হয়ে পরবর্তী ১৮ কর্ম দিবস পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রথম ১০ কর্ম দিবস বিভিন্ন স্কুলে এবং পরবর্তী ৮ কর্ম দিবস বিভিন্ন কমিউনিটিতে টিকা প্রদান করা হবে। এজন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মিজানুর রহমান। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে একযোগে পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৩৩৪ টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৭২৯ জন, ইন্দুরকানি উপজেলায় ২৩৬ টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬২২ জন, নাজিরপুর উপজেলায় ৪৮৬ টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৩৭৪ জন, নেছারাবাদ উপজেলায় ৪৮৭ টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৫২৫ জন, কাউখালী উপজেলায় ২১৬ টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৯১৮ জন, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৩৬৪ টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৬৬৫ জন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৬৭৬ টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭ জন, পিরোজপুর পৌরসভায় ৯৯ টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৭০ জন এবং মঠবাড়িয়া পৌরসভায় ২৮ টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৭ জন কিশোরীকে টিকে প্রধানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
- Advertisement -