ষ্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির বলেছেন, তারা শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকবেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হবেন। তিনি শহীদদের আত্মত্যাগকে সর্বোচ্চ সম্মান জানান এবং একটি সুন্দর ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ রোববার সকালে পশ্চিম সানারপাড়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন শহীদ মাহমুদুল হাসান জয়ের বাবা, শহীদ জিহাদ হোসেনের বাবা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, এবং শহীদ শাহাদাত হোসেন শাওনের বাবা বাসির আলম।
নেতৃবৃন্দ শহীদ পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা জানান, ধৈর্য ধারণ করার পরামর্শ দেন এবং শহীদের প্রতি পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
জামায়াত নেতৃবৃন্দের বক্তব্য:
- আব্দুস সবুর ফকির: শহীদ পরিবারের আত্মত্যাগকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর উল্লেখ করে বলেন, দেশের মানুষ শহীদদের স্মরণে সবসময় শ্রদ্ধাশীল থাকবে। তিনি বলেন, জামায়াত বৈষম্যমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে আগ্রহী এবং স্বৈরাচারী সরকারের পতন চায়।
- অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন: ছাত্রদের শহীদ হওয়ার ঘটনা এবং স্বাধীনতার প্রতীক সেনাবাহিনীকে সুরক্ষিত রাখার কথা উল্লেখ করে বলেন, নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সমাজের সব সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে এবং সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকবে।
- অধ্যাপক মোকাররম হোসেন খান: দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী হানাদারদের সব চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে এবং দেশ প্রেমিক জনগণের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।