মেলানি জোলি বলেন, চীন সাম্প্রতি চার কানাডার নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।অটোয়ার পক্ষ থেকে নমনীয়তা প্রদর্শনের আবেদন উপেক্ষা করে এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তবে কানাডায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র অটোয়াকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার’ আহ্বান জানিয়েছেন।কারণ এর মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে চলা টানাপোড়েনের পর দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গ্লোবকে পাঠানো দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাদক-সম্পর্কিত অপরাধ একটি গুরুতর অপরাধ যা বিশ্বব্যাপী সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হিসেবে স্বীকৃত। চীন সর্বদা মাদক-সম্পর্কিত অপরাধের ওপর কঠোর শাস্তি আরোপ করে এবং মাদক সমস্যার প্রতি ‘শূন্য সহনশীলতা’ বজায় রাখে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ভ্যাঙ্কুভারে মার্কিন পরোয়ানায় চীনা টেলিকম হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝোকে ভ্যাঙ্কুভারে আটক করার পর থেকে কানাডা-চীন সম্পর্কের উত্তেজনা তুঙ্গে। পরে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বেইজিংয়ের প্রতিশোধমূলক দুই কানাডিয়ানকে আটকের ফলে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। ২০১৯ এবং ২০২১ সালে কানাডার নির্বাচনে চীনা হস্তক্ষেপের অভিযোগে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। তবে বেইজিং অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
- Advertisement -