আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে চীনের কাছে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা চাইছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। ঋণের অর্থ চীনা মুদ্রা ইউয়ানে গ্রহণ করা হবে এবং তা চীন থেকে পণ্য আমদানির ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করা হবে। ঋণের আলোচনা এখনো কারিগরি পর্যায়ে রয়েছে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে, তবে আমদানি পরিমাণ রপ্তানির তুলনায় ১০ গুণ বেশি হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। গত বছর বাংলাদেশ চীন থেকে প্রায় ১,৬০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল।
আব্দুর রউফ তালুকদার উল্লেখ করেছেন, এই ঋণ পেলে বাংলাদেশ ইউয়ানে কিছু চীনা পেমেন্ট নিষ্পত্তি করতে পারবে এবং রিজার্ভ বাড়াতে সক্ষম হবে, কারণ ইউয়ান আইএমএফ অনুমোদিত একটি রিজার্ভ মুদ্রা।
করোনাভাইরাস মহামারির সময় থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। রপ্তানি কমে যাওয়া এবং ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াকে এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছর বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে, তবে রপ্তানি খাত এখনো চাপের মধ্যে রয়েছে। ক্রমাগত রিজার্ভ কমায় বাংলাদেশের ক্রেডিট স্কোরও কমিয়েছে ফিচ রেটিংস।
৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২,১৮০ কোটি ডলার, যা দিয়ে আড়াই মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আইএমএফ ২০২৭ সালের মধ্যে এই সক্ষমতা ৩.৬ মাসে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
গভর্নর আশা করছেন, সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমালে বাংলাদেশের রিজার্ভ বাড়বে এবং আমদানি ব্যয় কমবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন এবং ঋণের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জুলাই ৩, ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম