বিশেষ প্রতিবেদকঃ ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ইসকন একটি সমর্থনমূলক বিবৃতি দিয়েছে। তবে ইসকনের পক্ষ থেকে এ দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে।শুক্রবার ইসকন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে কোনো বিবৃতি দেয়নি এবং এ ধরনের সংবাদ বিভ্রান্তিকর।আনন্দবাজার ওই প্রতিবেদনে দাবি করেছে, শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ইসকনের পক্ষ থেকে নতুন বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণকে তারা সমর্থন করে। তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি।বিবৃতির বরাত দিয়ে শুক্রবার সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চিন্ময় কৃষ্ণের অধিকার, বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং তাদের ধর্মীয় স্থানগুলো রক্ষার জন্য তার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ইসকন। তার থেকে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি। আমরা শুধু একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, তিনি ইসকনের সদস্য নন। বাংলাদেশের ইসকনের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন না। গত কয়েক মাসে এই কথা একাধিক বার আমরা বলেছি।’শুক্রবার বাংলাদেশ চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থনে বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে ইসকন।সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীর সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইসকন সংক্রান্ত একটি বিবৃতি লক্ষ্য করেছি, যা নিয়ে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে নিউজ প্রকাশিত হচ্ছে। আমরা ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি যে, এ ধরনের কোনো বিবৃতি ইসকন বাংলাদেশ প্রদান করেনি। ইসকন বাংলাদেশ সর্বদা দেশের আইন, শৃঙ্খলা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের কোনো বিবৃতি বা কার্যক্রম কখনোই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার পরিপন্থি নয়।’অনভিপ্রেত বিবৃতির ভিত্তিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে ইসকন। যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রচার বা শেয়ার করতে গণমাধ্যমকে আহ্বান জানায় সংগঠনটি।শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অনেক আগেই ইসকন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে জানিয়েছে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, গত ৩ অক্টোবর অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয় যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (চন্দন কুমার ধর) ইসকন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন। তাই তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অতএব তার কৃতকর্মের জন্য ইসকন বাংলাদেশ কোনোভাবেই দায়বদ্ধ নয়।গত সোমবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তার জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম আদালত।