ষ্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সবাই একসাথে কাজ করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করা সম্ভব। তিনি জানান, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় কম নয়, তবে যথাযথ সুবিধা এবং অন্যান্য অনেক কিছু প্রয়োজন যা এখনো অভাব রয়েছে। সবাই মিলে কাজ করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ডা. সামন্ত লাল সেন বুধবার (১০ জুলাই) মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ পরিদর্শন করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ট্রমা সেন্টার, শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্প এবং শেখ হাসিনা ইনিস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি নির্মাণ প্রকল্প। তিনি শিবচর ডায়াবেটিক সমিতি এবং উত্তর তাজপুর কমিউনিটি ক্লিনিকও পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা ইনিস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে শিবচরকে একটি মডেল হিসেবে তৈরি করার জন্য চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর কাজ প্রশংসনীয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীদের সঠিক ইনভেস্টিগেশন না হওয়ায় অর্ধেক রোগী বিদেশে যায়। তিনি বলেন, যদি আমরা ভালো টেকনোলজি এবং দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারি, তাহলে স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি ঘটানো সম্ভব হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ তোমরাই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে যথাযথ পড়াশোনা এবং প্রান্তিক জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক সংসদ সদস্য যদি হাসপাতালে আসেন এবং রোগীদের ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন, তাহলে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে এবং ঢাকায় আর রোগীদের আসতে হবে না। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সকলকে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে এবং দেশপ্রেম থাকতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সম্মান ধরে রাখার এবং স্বাস্থ্য খাতের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভা ও পরিদর্শনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীরসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিবচর জেলা, উপজেলা কর্মকর্তাবৃন্দ।