নওগাঁ প্রতিনিধি/- বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার সরস্বতীপুর বাজারে অনন্যা-বর্ষা চাউল কল চাতালের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটিঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয় বলে একটি মহলের অভিযোগ।
আটকরা হলেন- উপজেলার চকরাজা গ্রামের আফাজ উদ্দীনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৬), রহিমের ছেলে মিঠু (৩৮) ও মৃত কসতুলের ছেলে বাবু (৪০)।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধু তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার জন্য ভ্যানযোগে এসে সন্ধ্যার দিকে সরস্বতীপুর বাজারে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে বাজারের পাশে পরিত্যক্ত অনন্যা-বর্ষা চাউল কলের চাতালে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে।
এ সময় চাউল কলের রাস্তার পাশ দিয়ে পথচারীরা যাওয়ার সময় গোঙানির শব্দ শুনে ভেতরে প্রবেশ করলে ধর্ষকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সিরাজুলকে আটক করে। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সিরাজুলকে ভুক্তভোগীর বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
ঘটনার পরদিন শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ভুক্তভোগীর স্বামী বিচারের দাবিতে গ্রামের মাতব্বরদের বিষয়টি জানাতে গেলে সুযোগ বুঝে সিরাজুলের লোকজন ঘরের তালা ভেঙে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় একটি মহল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল। পরে বিষয়টি থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আগামীকাল রোববার ভুক্তভোগীর আলামত পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
শনিবার বিকেলে নওহাটা মোড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফরিদ ফোর্স নিয়ে ভুক্তভোগীর এলাকায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করে মহাদেবপুর থানায় নিয়ে যায়।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ঘটনাটি ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে গোপনে আপোষের চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু তারা আপোষের সাথে একমত ছিল না। পরে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।