LastNews24
Online News Paper In Bangladesh

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫২ কেজিতে আমের মণ! বিপাকে চাষি

0

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ৪০ কেজিতে একমণ হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট আম বাজারে ৫০-৫২ কেজিতে এক মণ ধরে আম ক্রয় করছেন আড়তদাররা। এতে বিপাকে পড়েছেন আমচাষি।মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে কানসাট আমবাজারে এমন চিত্র দেখা যায়। আম চাষিদের জিম্মি করেই ৫০-৫২ কেজিতে একমণ ধরে আম ক্রয় করছেন আড়তদাররা। এমনকি ওজনের আম বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করলে ভোগাস্তি পোহাতে হচ্ছে চাষিদের।আম বিক্রি করতে আসা মজিবুর রহমান বলেন, এ বছর অন্য বছরের থেকে গাছে আম অনেক কম ধরেছে। আর এদিকে আম বিক্রি করতে এসে শুনছি ৫২ কেজিতে এক মণ ধরা হবে। এতে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। এর আগেও বলা যায়, গত বছরও আমাদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে মণ নিয়েছেন আড়তদাররা। আর এবার ফের ৫২ কেজিতে মণ নিচ্ছেন। এমন চলতে থাকলে আমরা কিভাবে কীটনাশক খরচ পরিশোধ করব।

কানসাট পুখুরিয়া এলাকার রহমত আলী বলেন, আম হচ্ছে কাচা পণ্য। গত ৫ বছর থেকে আমরা ৪৫ কেজিতে এক মণ ধরেই আম বিক্রি করতাম। তবে গত বছর হঠাৎ আড়তদাররা ৫০ কেজিতে মণ নেয়া শুরু করে। এবার ফের বলছে ৫২ কেজিতে মণ বিক্রি করতে হবে। এতে আমরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছি। তিনি বলেন, আম বাজারে এক কথা বলে আম কিনেন আড়ৎদাররা আর ঘরে গিয়ে ওজনের সময় খারাপ আচরণ করে। আমরা কিছু বলতে পারিনা।কানসাট আম আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, কানসাট বাজারে ওজন নিয়ে একটি ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। এটি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে।শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, কানসাট বাজারে আম চাষিদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে মণ নিচ্ছে আড়তদাররা। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন হাজারো চাষি। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আর জেলার সব আম বাজারে এটি ওজনে মণ করা প্রয়োজন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, কানসাট আম বাজারে ওজন নিয়ে একটি ঝামেলার বিষয়টি শুনেছি। পরে জেলার অন্য আম বাজারের সঙ্গে ওজন মিলিয়ে এ বাজার চালানো নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

About Author

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More