LastNews24
Online News Paper In Bangladesh

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম না থাকায় কাজে আসছে না আমের জিআই স্বীকৃতি

0

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি  চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদিত চারটি আম এখন পর্যন্ত (ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি) জিআই সনদ পেলেও কোনো ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম না থাকায় এ স্বীকৃতি কোনো কাজেই আসছে না। অপরদিকে অন্য জেলার আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিআই সনদপ্রাপ্ত বলে দেশজুড়ে বিক্রি করা হচ্ছে একই দামে। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি, ল্যাংড়া, ফজলি ও আশ্বিনা আম জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য) স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আমগুলোর কোনো ব্র্যান্ডিং না থাকাসহ আমে স্টিকারও না থাকায় আমের আলাদা মর্যাদা পাওয়া যাচ্ছে না। এই সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্য জেলায় উৎপাদিত আমকেই জিআই পণ্য বলে বিক্রি করছে। এতে করে জেলার প্রকৃত আম চাষিরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জিআই পণ্য প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তরুণ আম ব্যবসায়ী সুকুমার প্রামানিক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চারটি আম জিআই স্বীকৃতি পেলেও জেলার আমচাষিরা তার কোনো সুফল পাচ্ছে না। কারণ জেলার আমের কোনো ব্র্যান্ডিং না থাকাসহ জেলায় উৎপাদিত আমে নিজস্ব স্টিকার না থাকায় আমাদের আম আলাদা করে বাজারে বিক্রি করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি এই জেলার জিআই সনদপ্রাপ্ত আমগুলোকে ব্র্যান্ডিং করে দেশজুড়ে বাজারজাতকরণের দাবি জানান। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, এই জেলায় উৎপাদিত আমগুলোর জিআই স্বীকৃতি এখন পর্যন্ত বাক্সবন্দি হয়ে পড়েছে। কারণ আমরা এখনো জিআই স্বীকৃতপ্রাপ্ত আমগুলোতে জিআই ট্যাগ লাগাতে পারিনি। ফলে বাজারে অন্য জেলার আমের সঙ্গে এ জেলার আমের কোনো পার্থক্য নেই। অপরদিকে শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান আক্ষেপ করে বলেন, কয়েকদিন আগে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে দেখি অন্য জেলার আমের সঙ্গেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের উৎপাদিত আম বিক্রি হচ্ছে, এটি মোটেও কাম্য নয়। কারণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের আলাদা কদর রয়েছে। কিন্তু সেই কদর হিসেবে আমরা দাম পাচ্ছি না। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে এবং রফতানিকারকদের আমবাগান দেখানো হচ্ছে। আগামীতে বিদেশে কিভাবে আরও বেশি আম পাঠানো যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এখন পর্যন্ত চারটি আমের জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামীতে আরও ১০-১২টি আমে জিআই স্বীকৃতি পাবে এ জেলা।

About Author

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More