বিশেষ প্রতিনিধি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে হত্যার দায়ে নাজমুল হাসানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে বুধবার এ রায় দেন বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আসামিপক্ষে ছিলেন লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।
দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হাসান (৩৫) উপজেলার আশ্বিনপুর গ্রামের বড় বৈদ্য বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে।মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় নাজমুল প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে। এ সময় ৯ মাসের শিশুকন্যাটি কান্নাকাটি শুরু করলে তাকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়। পরে তাদের লাশ বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘরে মাটিচাপা দেয় খুনি। হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় ২৪ জুলাই মেয়ের সন্ধান চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাজমুলের শ্বশুর আবুল কাশেম। জিডির পর ওই দিনই নাজমুলকে আটক করে পুলিশ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হোসনে আরা ও মেয়ে নাজনিনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে নাজমুল। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সেখান থেকে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান একই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহ উদ্দিন আহমদ আসামি নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন।রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামি খালাস চেয়ে আপিল করেন। সে আপিল খারিজ করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।