- Advertisement -
অন্যদিকে যাদের আড়তে পাকিস্তান, মিসর, মায়ানমার, চীন, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক ও থাইল্যান্ড পেঁয়াজ রয়েছে তারা সর্বনিম্ন ৩৫- ৪৫ টাকায় বিক্রি করেছেন এসব পেঁয়াজ। চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকার নিচেই বিক্রি হচ্ছে, যা জানুয়ারির শুরু থেকেই স্থিতিশীল রয়েছে।
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার বশির উদ্দিন সাংবাদিককে বলেন, আমদানিকারকরা কম সময়ে আর কম খরচে পেঁয়াজ আনতে পারে ভারত আর মায়ানমার থেকে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে এর পরবর্তী টার্গেট থাকে মায়ানমার। মায়ানমার থেকেও আনতে না পারলে তখন সমুদ্রপথ দিয়ে পাকিস্তান, মিসর, চীন, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক ও থাইল্যান্ড এসব দেশ থেকে আমদানি করতে বাধ্য হন। এতে খরচও বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, মায়ানমার সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণেও স্থলপথ দিয়ে মায়ানমার থেকেও পণ্যটি আমদানি করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বাড়াতে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য কমিয়েছে। এ সুযোগটা এখন নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে সমুদ্রপথে পণ্যটি আমদানি শূন্যে নেমেছে। স্থলপথ দিয়ে আমদানি বেশি হচ্ছে।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, ভারত যেহেতু রপ্তানির ন্যূনতম মূল্য কমিয়েছে, তাই ভারত থেকে স্থলপথেই আনছেন পণ্যটি। এর পরও বেশির ভাগ আমদানিকারক ভারতের বিকল্প দেশ থেকে আমদানি করার জন্য অনুমতি নিয়ে রেখেছেন। ভারত যদি আবারও রপ্তানি বন্ধ করে তখন বিকল্প দেশ থেকে পণ্যটি এনে বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখা হবে। এ ছাড়া এখন দেশীয় কৃষকের মুড়িকাটা পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এখন পণ্যটির সংকট নেই।
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. শাহ আলম সাংবাদিককে বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে কিছু পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসেছিল। ১৩ জানুয়ারির পর্যন্ত সমুদ্রবন্দর দিয়ে এক টন পেঁয়াজও আসেনি। তবে আমদানিকারকরা আমদানি অনুমতি নিয়ে রেখেছেন।