ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নিয়ে অধিদপ্তর যা জানালো

0
আবহাওয়া প্রতিবেদকঃ বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ মঙ্গলবার নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আগামীকাল বুধবার সকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরে আরো শক্তি সঞ্চয় করে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় হলে এর নাম হবে ‘ডানা’। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের দেওয়া নাম। আবওয়াবিদরা বলছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ডানা ভারতের ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি। তবে এটি যতক্ষণ সাগরে থাকবে ততক্ষণ এর দিক পরিবর্তনের সম্ভাবনাও থেকে যাবে। এর প্রভাবে আগামীকাল বুধবার থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

এদিকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বুধবার সকালে সতর্ক সংকেত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর সূত্র।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক মঙ্গলবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটি ভারতের উত্তর ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সুন্দরবনের দক্ষিণ বরাবর মুখ করে আছে। এটি যতক্ষণ সাগরে থাকবে ততক্ষণ এর গতিবেগের ওপর নির্ভর করে দিক পরিবর্তনের সম্ভাবনাও থেকে যায়। তবে এখন পর্যন্ত ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাতের সম্ভাবনাই বেশি।’

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি সম্পর্কে ভারতের আবহাওয়াবিষয়ক সরকারি সংস্থা আইএমডি জানিয়েছে, বুধবারই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ও  বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের এসে তীব্র বা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

স্থলভাগ অতিক্রমের সময় এর বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার বেগে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার রাতে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে বুধবার দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টি ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি ও মাত্রা আরো বাড়তে পারে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত বেশি থাকতে পারে।

- Advertisement -

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.