জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন সাংবাদিককে বলেন, ‘কয়েকটি কারখানার বকেয়া থাকতে পারে। এটাকে পুঁজি করে আগুনে ঘি ঢেলে দিচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ী। এমন ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হবে না। এদের ১৫ থেকে ২০ জনকে কঠোর নজরদারিতে আনা গেলে এই সংকট শিগগিরই থেমে যাবে।’
পোশাক খাত নিয়ে কয়েকজন শ্রমিক নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংবাদিককে জানান, ক্ষমতার পালাবদলের পর পোশাক কারখানায় কাজ কমছে। ক্রেতারা এখন কার্যাদেশ কমিয়ে দিয়েছে। এর সুযোগ নিচ্ছে প্রতিযোগী দেশ। তাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে। ভারত সরকার নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে পোশাক খাতকে উৎসাহিত করছে।
এদিকে বিজিএমইএর সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে আন্তরিক নয় বিজিএমইএ সহায়ক কমিটি। সরকার সম্প্রতি বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ করে। প্রশাসককে সহায়তার জন্য সহায়ক কমিটিও করা হয়। কিন্তু সেই কমিটিও কার্যকর ভূমিকা রাখছে না বলে অভিযোগ রয়েছে বিজিএমইএ সদস্যদের।
নিট পোশাক খাতের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সরকার পতনের পর তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করে। সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। এর সঙ্গে বকেয়া বেতন, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও বিদেশি ষড়যন্ত্র, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে কিছু কারখানা মালিকের অনুপস্থিতিও শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। এই পরিস্থিতিতে ১০-১৫ শতাংশ ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গেছে। কয়েকটি দেশ এই সুযোগ ব্যবহার করে ক্রেতাগোষ্ঠী টানার চেষ্টা করছে।’
টাকার সংকটে বেক্সিমকোর ২৪ কারখানা বন্ধ, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ অনিশ্চিত
একসময়ের দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে। এই সংকটের কারণে শাইনপুকুর সিরামিকস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির বন্ধ কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪টিতে।
গত আগস্ট থেকে বেক্সিমকোর কারখানাগুলো কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে শ্রমিকদের টানা পাঁচ দিনের অবরোধের পর এই সংকট আরো প্রকট হয়ে ওঠে।