বেইত লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়া আলজাজিরাকে বলেছেন, উত্তরাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরাইলি হামলার পরে বহু মানুষের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, অধিকাংশ মৃতদেহই নারী ও শিশুদের।কিন্তু ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের বাঁচানোর কোনো উপায় নেই বলেও জানান তিনি। ইসরাইলি বাহিনীও উত্তর গাজা অবরোধ করে রেখেছে এবং ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের জরুরি কর্মীদের ওই এলাকায় কাজ করতে বাধা দিয়েছে। গাজার চিকিৎসকরা বলছেন, তারা আহতদের সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না। সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, এই এলাকায় প্রয়োজনীয় সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে উত্তর গাজায় ইসরায়েলের স্থল আক্রমণে গত পাঁচ সপ্তাহে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, বেত লাহিয়া, জাবালিয়া এবং বিত হানুন শহরে পানি ও খাবারের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ৭৫ হাজার মানুষ অবরুদ্ধ রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গত সপ্তাহের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত করে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে আবারও ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই ভোটে পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রস্তাবটি নিয়ে আপসের প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করা হয়েছে।
১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদে ১০টি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব তোলা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ভেটোর মাধ্যমে প্রস্তাবটি আটকে দেয়।
জাতিসংঘের মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেন, ‘এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব হামাসের জন্য ভয়ংকর বার্তা বহন করে। সমঝোতার টেবিলে ফেরার কোনো দরকার নেই।’ তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় ইসরাইলি বন্দিদের কথা ভুলে গেছে। কিন্তু আমরা তা হতে দিতে পারি না। আমরা তাদের ভুলে যেতে পারবো না।’
সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি