- Advertisement -
জরুরি বৈঠক শেষে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘আজ বিকেল ৩টায় আমাদের সমাবেশে ঘোষণাপত্রটি আসার কথা ছিল।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।”
প্রেসসচিব বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে।’
প্রেস সচিব আরো বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিবের সংবাদ ব্রিফিংয়ের পরপরই বৈঠকে বসেন নাগরিক কমিটির নেতারা। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আজকের কর্মসূচি স্থগিত করার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসেনি।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ বিকেল ৩টায় ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা।
ঘোষণাপত্রটিকে বাহাত্তরের সংবিধান রিপ্লেসের (প্রতিস্থাপন) প্রক্রিয়া বলে গত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এই কর্মসূচিতে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে গতকাল অফিশিয়ালি ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘পুরো জুলাই অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার উৎখাতে যেভাবে রাস্তায় নেমেছেন, ৩ আগস্ট যেভাবে সম্মিলিতভাবে এক দফা ঘোষণা করেছেন, ৫ আগস্ট স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেভাবে আপনারা রাস্তায় নেমে পড়েছেন, ঠিক সেভাবে নেমে আসুন আগামীকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।’
শহীদ মিনারের সমাবেশে সারা দেশ থেকে সমর্থক ও আগ্রহীদের উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রস্তুতি নিয়েছিল নাগরিক কমিটি। এর মধ্যে দেশের থানা ও উপজেলা পর্যায়ে অন্তত ১৫০টি কমিটি গঠন করেছে এই প্ল্যাটফরম।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক নিজাম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, ‘আমরা লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছি। সারা দেশে আমাদের সংগঠকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সমর্থক ও আগ্রহীদের নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য।’