জেলা প্রতিবেদকঃ খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন এলাকা হতে মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব-৬।
- Advertisement -
র্যাব-৬ খুলনা কোম্পানি কমান্ডার জানান, ৩০ এপ্রিল এর একটি আভিযানিক দল দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন ছোট বয়রা, শান্তিনগর এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি, (১) ঈশান কবির খান জ্যোতি (৪২), পিতা-হুমায়ুন কবির খান, মাতা-মারুফা বেগম,সুলতান আহম্মেদ রোড মৌলভীপাড়া,খুলনাথেকে গ্রেফতার করে।
Related Posts
জানা যায়, ভিকটিম খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানাধীন বটিয়াঘাটা সরকারি ডিগ্রী কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে । এ বিষয়ে দায়েরকৃত মামলার ০১ নং আসামির সাথে ভিকটিমের দুই মাস পূর্বে পরিচয় হয় এবং ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ১ নং আসামি ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ২ ও ৩ নং আসামিদ্বয়ের সহযোগিতায় গত ২৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় খুলনা সদর থানাধীন রুপসা স্ট্যান্ড রোডে ২ নং আসামি হুমায়ুন কবির এর ভাড়াকৃত বাসার রুমের ভিতর ডেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে ০১ নং আসামি ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ২৮ এপ্রিল রাতে অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম ১নং আসামী ঈশান কবির খান জ্যোতিকে বিবাহের কথা বললে, ০১ নং আসামিসহ বর্ণিত অন্যন্য আসামিরা ভিকটিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ১ নং আসামির হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে র্যাব-৬, সিপিএসপি এর একটি আভিযানিক দল আসামিকে গ্রেফতারের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেএমপি খুলনার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।