“খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জাতীয় দাবিতে পরিণত”

0

ষ্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিকে জাতীয় দাবিতে পরিণত হওয়া বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং সরকারের উদাসীনতা ও প্রতিহিংসার কারণে তার জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

 

- Advertisement -

মির্জা ফখরুল বলেন, “ভোরের দিকে হঠাৎ করে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। উনার অনেক অসুখ আছে যা আমরা বারবার জাতির কাছে তুলে ধরেছি। কিন্তু সরকার কোনো কেয়ার করেনি। উনার জীবন হুমকির মুখে। এটা এরা (সরকার) ইনটেনশনালি করছে বলে আমরা মনে করি।”

 

তিনি আরও বলেন, “এখন এটা জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে যে দেশনেত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। উনার প্রতি যে অন্যায় করা হচ্ছে, চরম অন্যায়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এভাবে আটকে রেখে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।”

 

খালেদা জিয়া বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউ সুবিধা সম্বলিত কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

 

বিএনপি মহাসচিব সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আজকে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। এভাবে হঠাৎ করে আসতে হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন যে কয়েকদিন আগেও তাকে হাসপাতালে আসতে হয়েছে। ক্রমাগত অত্যন্ত জটিল অসুখগুলো তাকে আক্রমণ করেছে।”

 

মির্জা ফখরুল বারবার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, “সেক্ষেত্রে আমরা বারবার বলেছি যে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি চিকিৎসা কেন্দ্রে তার চিকিৎসা দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে তারা (সরকার) প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না।”

 

তিনি উল্লেখ করেন, গত ২২ জুন গভীর রাতে গুলশানের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ার পর খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয় এবং ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এ ধরনের অবস্থায় বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে এবং তার চিকিৎসা পরিচালনা করা হচ্ছে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে।

 

গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ এনে তার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়। গত চার বছরে বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.