কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ১০৪ বছরের পুরনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার সকাল ৯ টায় কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদে বিদ্যালয়ের মাঠে এ কর্মসূচিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উপস্থিত ছিলেন।মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জয়নাবাদ জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতাউল গনি, সদস্য জাহিদুল ইসলাম ঝন্টু, চাপড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রিপন মন্ডল, ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মাজেদা বেগমসহ প্রমূখ।বক্তারা বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রয়েছে। এই মাঠে জানাজার নামাজ, ঈদের নামাজ, খেলাধুলা ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন সভা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে প্রায় ১০৪ বছর ধরে। কিন্তু প্রায় ৭ মাস ধরে বিদ্যালয়ের জমিদানকারীর স্বজনরা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের ২৫ শতক জমি দখল করে নেওয়ার পায়তারা করছে। এলাকাবাসীর স্বার্থে তারা মাঠ রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন।
এবিষয়ে অভিযোগ করে ইসমাইল বিশ্বাসের নাতনি মৌসুমী খাতুন বলেন, আমরা ওয়ারিশ সূত্রে ২৯৩ দাগে সাড়ে ২৩ শতাংশ জমি পাব। তবে রিপন মেম্বর ও স্থানীয়রা আমাদের দিচ্ছে না। আজ প্রশাসনিকভাবে জমি মাপার কথা ছিল। কিন্তু এ্যাসিল্যাণ্ড অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় মাপা হয়নি। সেই সুযোগে জামায়াত-বিএনপির কিছু লোকজন মানববন্ধন করে আমাদের দোষারোপ করছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ৭০ শতাংশের ওপর বিদ্যালয়টি। তবে শতবছর ধরে দুই দাগের জমিই ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যালয়ের কাজে। আজ জমি মাপের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু মাপ হয়নি। স্থানীয়রা মানববন্ধন করেছে।চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু বলেন, ওয়ারিশসূত্র মৌসুমীরা জমি পাবে। আজ মাপও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে মাপ হয়নি। সেই সুযোগে কিছু দুষ্কৃতকারী এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। আমি সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করি।উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত জানান, সরকারি বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণে জটিলতা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ পরিমাপের দিনধার্য ছিল। তা বিশেষ কারণে হয়নি। তবে ভবিষ্যতে সুবিধামত সময়ে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে সঠিক পরিমাপের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।